1) উদ্ভিদের পুরানো জাইলেমে সংরক্ষিত দুটি বর্জ্য পদার্থের নাম উল্লেখ করো ।
Ans :-
রেজিন এবং গাম উদ্ভিদের পুরানো জাইলেমে সংরক্ষিত দুটি বর্জ্য পদার্থ।
2. উদ্ভিদ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত জল অপসারণ করে তার নাম কী? এই প্রক্রিয়া যে রন্ধ্রগুলির মাধ্যমে ঘটে তাদের নাম বলুন।
উত্তরঃ
উদ্ভিদ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত জল অপসারণ করে তাকে প্রস্বেদন (Transpiration) বলা হয়। এই প্রক্রিয়া পত্ররন্ধ্র এর মাধ্যমে ঘটে।
3) মানুষের পরিপাক তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত তিনটি ভিন্ন গ্রন্থির নাম উল্লেখ করুন। এছাড়াও তাদের নিঃসরণের নাম লেখো
।
উত্তরঃ পরিপাক তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত তিনটি গ্রন্থি নিম্নরূপ:
(i) মুখের লালাগ্রন্থি লালা উৎপন্ন করে। লালাতে স্যালিভারি অ্যামাইলেজ নামক একটি এনজাইম থাকে যা খাদ্যে উপস্থিত স্টার্চকে চিনিতে পরিণত করে।
(ii) যকৃত হল সবচেয়ে বড় গ্রন্থি যা পিত্তরস নিঃসৃত করে এবং এটি ক্ষুদ্রান্ত্রের দ্বাদশাঙ্গে (ডুওডেনাম) প্রবাহিত হয়। পিত্তরস পাকস্থলী থেকে আসা অম্লীয় খাদ্যকে ক্ষারীয় করে তোলে যাতে অগ্ন্যাশয়ের এনজাইমগুলি এর উপর কাজ করতে পারে। পিত্তলবণ খাদ্যে উপস্থিত চর্বিকে ছোট ছোট গোলক আকারে ভেঙে দেয়।
(iii) অগ্ন্যাশয়ও একটি বড় গ্রন্থি যা দ্বাদশাঙ্গে অগ্ন্যাশয়ের রস নিঃসৃত করে। অগ্ন্যাশয়ের রসে থাকে বিভিন্ন এনজাইম যা খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
4) কোন অঙ্গ রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেলে একটি হরমোন নিঃসরণ করে | এই অঙ্গ থেকে নিঃসৃত একটি পরিপাক এনজাইমের নাম লেখো :
Ans :- অগ্ন্যাশয় রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন (হরমোন) নিঃসরণ করে। অগ্ন্যাশয় অগ্ন্যাশয়ের রস নিঃসরণ করে যা পরিপাক এনজাইমসমূহ ধারণ করে।
5) যখন মাংসপেশীর কাজ বেশি হয়, তখন হৃদয়ে কি ঘটে?
উত্তরঃ (a) যখন মাংসপেশীর কাজ বেশি হয়, তখন হৃদয় দ্রুত ধাক্কা মারে কারণ মাংসপেশীর সাধারণ প্রয়োজনীয় তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তি প্রয়োজন। হৃদয়ের দ্রুত ধাক্কা মারা মাংসপেশীগুলিকে আরও দ্রুত রক্ত পাঠায়, যা মাংসপেশী কোষগুলিকে আরও অধিক অক্সিজেন সরবরাহ করে দ্রুত শ্বাসক্রিয়তার জন্য যাতে একটি অধিক পরিমাণের শক্তি উৎপন্ন হতে পারে।
6. সংক্রামক অবস্থায় কোন কোষগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়?
Ans. সংক্রামক অবস্থায় সাদা রক্তকণিকা (WBCs) এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
অনুশীলনীর প্রশ্ন-উত্তর
১। মানবদেহে বৃক্ক থাকেঃ
(a) পুষ্টির জন্য।
(b) শ্বসনের জন্য।
(c) রেচনের জন্য।
৫। আমাদের শরীরে চর্বী কিভাবে পাচিত হয় ? এই পাচন কোথায় সংঘটিত হয় ?
Ans. উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রে চর্বীজাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়ে থাকে। ক্ষুদ্রান্ত্রে খাবার এসে পৌছিলে খাবারের সঙ্গে পিত্তরস, অগ্নাশয় রস এবং আন্ত্রিক রস মিশে যায়। পিত্তরসে খাবার পরিপাককারী কোনও উৎসেচক থাকে না। তাই খাবার পরিপাকে পিত্তের বিশেষ কোনাে ভূমিকা নেই। তবে পিত্তলবণ, চর্বীজাতীয় খাবারকে অবদ্রবে পরিণত করে পরিপাকে সাহায্য করে।
নীচে ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকা উৎসেচকগুলির খাদ্য পরিপাকে ভূমিকা আলােচনা করা হল-
(i) এমাইলেজ শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে।
(ii) সুক্রেজ সুক্রোজকে গ্লুকোজ এবং ফুক্টোজে পরিণত করে।
(iii) ল্যাকটেজ ল্যাকটোজকে গ্লুকোজ এবং গ্যালাকটোজে পরিণত করে।
(iv) মলটেজ মলটোজকে গ্লুকোজে পরিণত করে।
(v) ট্রিপসিন পেপটোনকে পেপটাইডে পরিণত করে।
(vi) ইরেপসিন পেপটাইডকে এমাইনাে এসিডে পরিণত করে।
(vii) লাইপেজ চর্বীকে ফ্যাটি এসিড এবং গ্লিসারলে পরিণত করে।
৬। খাদ্যের পাচনে স্যালাইভার ভূমিকা কি ?
উত্তরঃ মুখবিবরে খাবার চিবানাের সময় খাবারের সঙ্গে লালারস মিশে যায়। লালারসে টায়ালিন ও মলটেজ উৎসেচক দুইটি থাকে। টায়ালিন সিদ্ধ শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে। (মুখবিবরে কেবল সিদ্ধ শ্বেতসার পাচিত হয়। এখানে প্রােটিন ও ফ্যাট পাচিত হয় না।)
৭। স্বপােষিত পুষ্টির প্রয়ােজন কি কি ?
উত্তরঃ উদ্ভিদের স্বভােজী পুষ্টির সর্তগুলাে হল-
(i) জীবিত কোষে ক্লোরােফিল থাকতে হবে।
(ii) উদ্ভিদের সবুজ অংশে বা কোষে জলের যােগান ধরা মূল বা পরিবেশ থেকে।
(iii) পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালােকের প্রয়ােজন যার দ্বারা সালােক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য সংশ্লেষ করা যায়।
(iv) পর্যাপ্ত পরিমাণে CO₂ যােগান ধরতে হয় কারণ সালােক সংশ্লেষণে কার্বোহাইড্রেট উৎপন্ন হয়।
17) উদ্ভিদে অ্যানেরোবিক শ্বসন দ্বারা প্রাপ্ত পণ্যগুলি কী কী?
(a) ল্যাকটিক অ্যাসিড + শক্তি
(b) কার্বন ডাই অক্সাইড + জল + শক্তি
(c) ইথানল + কার্বন ডাই অক্সাইড + শক্তি
(d) পাইরুভেট
Ans :- (c) ইথানল + কার্বন ডাই অক্সাইড + শক্তি
৯। গ্যাসের বিনিময় বেশি করার সুবিধার জন্য ফুসফুসে এ্যালভিওলি (Alveoli) কিভাবে বিস্তৃত হয় ?
উত্তরঃ ঝাঝরা হল পাতলা দেওয়াল বিশিষ্ট রক্তসঞ্চালন তন্ত্রের একটি অংশ যেখানে রক্ত এবং বায়ুভর্তি ঝাঁঝরার মধ্যে গ্যাসের বিনিময় ঘটে।
ঝাঁঝরার গঠন বেলুনের মতাে হওয়ায় ইহা গ্যাসের বিনিময়ের সময় অনেকটা জায়গা দেয়।
১০। আমাদের শরীরে হিমােগ্লোবিনের অভাব ঘটলে কি হতে পারে ?
উত্তরঃ আমাদের দেহে হিমােগ্লোবিনের পরিমাণ গড়ে 100 মি. লি. -এ 14.5 গ্ৰাম। রক্তে হিমােগ্লোবিন কম থাকলে অক্সিজেন বহন ক্ষমতা কমে যায়। ফলে এনিমিয়া বা রক্তহীনতা রােগ হয়।
১১। মানবদেহে রক্তের দ্বিচক্র (Double Circulation) বর্ণনা কর। এটির প্রয়ােজন হয় কেন ?
উত্তরঃ দ্বি-সঞ্চালন- মানবদেহে রক্ত হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় দুইবার চক্রাকারে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ সমস্ত দেহে একবার রক্ত সঞ্চালনের সময় হৃৎপিণ্ডের মধ্যে দুইবার সঞ্চালিত হয়। সেইজন্য একে রক্তের দ্বি-সঞ্চালন বলে।
দ্বি-সঞ্চালন দুইরকম যথা-
(i) সিষ্টেমিক সঞ্চালন।এবং
(ii) পালমুনারি সঞ্চালন।
দ্বি-সঞ্চালনের ফলে মানুষের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয় এবং শক্তির যােগান দেয়।