উত্তরঃ প্রজননের মূল কাজ হলো - একধরনের DNA সৃষ্টি করা ।
2. DNA এর সম্পূর্ণ নাম কি ?
Ans :- DNA - এর সম্পূর্ণ নাম হলো - Deoxyribo Nucleic Acid.
3) প্রজনন কাকে বলে ?
Ans :- যে প্রক্রিয়াতে একটি জীব থেকে বা দুটি জীবের মাধমে একই আকৃতি বা গঠনের জীবের জন্ম হয় , তাকে প্রজনন বলে ।
4) প্রজনন কত প্রকার ও কি কি ?
Ans :- প্রজনন সাধারণত দুই প্রকার । এগুলি হলো ---
(i) যৌন প্রজনন ও
(ii) অযৌন প্রজনন ।
5) কোন প্রকার প্রজননে জিনের বিনিময় ঘটে না ?
Ans:- অযৌন প্রজননে জিনের বিনিময় ঘটে না ।
6) জনন ক্রিয়ায় সাহায্য করা স্ত্রী-প্রজনন অঙ্গ এবং পুং-জনন তন্ত্রের নাম লিখ ।
Ans:- স্ত্রী-প্রজনন অঙ্গ - ডিম্বাশয় ও পুং-জনন তন্ত্রের নাম - শুক্রাশয় ।
7) সন্তান প্রসবে সহায়কার ী দুটি হরমনের নাম লিখ ।
Ans:- অক্সিটোসিন ও প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন ।
8) প্রজননে প্রকারন কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
উত্তরঃ জেনেটিক বৈচিত্র্য যৌন প্রজননের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি প্রজাতির বৈচিত্র্য এবং অভিযোজনক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, যৌন প্রজননের সময় দুটি পিতামাতার জেনেটিক উপাদান একত্রিত হয় এবং এর ফলে সন্তান উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে সন্তানরা পিতামাতার থেকে জেনেটিকভাবে আলাদা হয়, যা জেনেটিক বৈচিত্র্য নামে পরিচিত। জেনেটিক বৈচিত্র্য একটি প্রজাতির বেঁচে থাকা এবং বিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত করে যে একটি জনসংখ্যার সকল ব্যক্তি একই রকম নয়, যা পরিবেশগত পরিবর্তন বা রোগের মুখোমুখি হলে উপকারী হতে পারে।
9) এককোষী জীবের কয়েকটি উদাহরন দাও ।
উত্তরঃ এককোষী জীবের কয়েকটি উদাহরন হলো - আমিবা , প্লাসমোডিয়াম , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ।
)
)
10. আমিবা কোন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে ?
উত্তরঃ দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে ।
11. কালাজ্বর এর অণুজীব এর নাম কি ?
উত্তরঃ লেসমানিয়া ।
12. প্লাসমোডিয়াম কোন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে ?
উত্তরঃ বহুবিভাজন পদ্ধতিতে ।
13. খণ্ডন ( Fragmentation ) পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা একটি প্রাণীর নাম লিখ ।
Ans :- স্পাইরোগাইরা ।
14. পূর্ণগঠন বা পুনরোৎপত্তি পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা প্রাণীর নাম লেখ |
Ans :- হাইড্রা , প্ল্যানেরিয়া .
15. পূর্ণগঠন বা পুনরোৎপত্তি কি ?
Ans :- যদি কোন জীবের দেহের অংশ কাটা হয় বা ছোট ছোট অনেক অংশে বিভক্ত হয় এবং ওই এক একটি অংশ এক একটি নতুন জীবের সৃষ্টি করতে পারে তবে তাকে পুনর্গঠন বা পুনরোৎপত্তি বলে
16. মুকুলোদগম পদ্ধতিতে বংসবিস্তার করা একটি প্রাণীর নাম লিখ ।
Ans:- হাইড্রা
17. অঙ্গজ জনন পদ্ধতি কি ? কয়েকটি জীবের উদাহরণ দাও |
Ans:- যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কাণ্ড , শিকড় এবং পাতা উপযুক্ত অবস্থায় বৃদ্ধি পেয়ে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় , তাকে অঙ্গজ জনন পদ্ধতি বলে । যেমন - আঁখ , গোলাপ এবং আঙ্গুরের চাষ এই পদ্ধতিতে হয় ।
18. কিছু কিছু উদ্ভিদের উদাহরন দাও যারা বীজ ধারন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পর অঙ্গজ জনন পদ্ধতি গ্রহন করে ?
Ans:- কলা , কমলা , গোলাপ , যুঁই ফুল ইত্যাদি ।
19. একটি উদ্ভিদের উদাহরন দাও যার পাতা থেকে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় ? এটি কি ধরনের জনন পদ্ধতি ?
উত্তরঃ পাথরকুচি পাতা । এটি অঙ্গজ জনন পদ্ধতি ।
20. কলাকর্ষণ পদ্ধতি কি ?
উত্তরঃ উদ্ভিদের কোন বেড়ে উঠা প্রান্ত থেকে কোষ আলাদা করে অথবা কলা সংগ্রহ করে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করাকে কলাকর্ষণ বলে । যেমন - পাতাবাহার গাছ সৃষ্টি করাতে ।
21. রেনুগঠন পদ্ধতি কি ? উদাহরন দাও ।
উত্তরঃ কিছু কিছু উদ্ভিদের মাথায় গোল গোল গঠন প্রজননের সাথে জড়িত । এই গোল গঠন গুলি হল রেনুস্থলী । এগুলোর মধ্যে রেনু থাকে যেগুলো কোন ভেজা জায়গার স্পর্শ পেলে ওইখান থেকে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় । যেমন - রাইজোপাস উদ্ভিদ ।
22. অযৌন পদ্ধতি কি ? এই পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা কয়েকটি প্রাণীর নাম লিখ ।
উত্তরঃ যে প্রজনন পদ্ধতিতে একটি জীব থেকে নতুন জীবের বংশ সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন প্রজনন বলে । যেমন - আমিবা , প্লাসমোডিয়াম , হাইড্রা ইত্যাদি ।
23. যৌন প্রজনন পদ্ধতি কি ? এই পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করা কয়েকটি প্রাণীর নাম লিখ ।
উত্তরঃ একটি নতুন প্রজন্মের সৃষ্টি হওয়ার জন্য দুইটি জীবের মিলন হওয়াকে যৌন প্রজনন বলে ।
24. প্রকারন কেন হয় ?
Ans :- DNA কপিং পদ্ধতি সম্পূর্ণ শুদ্ধ না হওয়ার ফলে যে সব ভুল হয় তার জন্য জীবের মধ্যে প্রকারন হয় ।
25. যোজন কোষ ( zygote ) কি ?
Ans :- যখন পুং-জনন কোষ ও স্ত্রী-জনন কোষ মিলিত হয়ে ডিম্বাণু নিসেছন হয় তখন যোজন কোষের সৃষ্টি হয় ।
25. চলন শক্তি থাকা ও আকারে ছোট কোষটির নাম কি ?
Ans :- পুং-জনন কোষ
26. খাদ্য শক্তি থাকা আকারে বড় কোষটির নাম কি ?
Ans:- স্ত্রী-জনন কোষ ।
27. সপুষ্পক উদ্ভিদের ফুলের প্রজনন অঙ্গ কোথায় থাকে ?
Ans:- ফুলের ভিতরে থাকে ।
28. ফুলের ভিতরের চারটি প্রধান অংশ কি কি ?
Ans:- বৃতি , পাপড়ি , পুং-কেশর , গর্ভকেশর ।
29. ফুলের কোন অংশের ভিতর যোজন কোষ থাকে ?
উত্তরঃ পুং-কেশর ও গর্ভকেশরে ।
30. একলিঙ্গি ফুল কি ? কয়েকটি উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ যেসব ফুলের কেবল পুং-কেশর বা গর্ভকেশর একটি লিঙ্গই থাকে , তখন তাকে একলিঙ্গি ফুল বলে । যেমন - পেঁপে , তরমুজ ইত্যাদি ।
31. উভয়লিঙ্গি ফুল কি ? কয়েকটি উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ যেসব ফুলের পুং-কেশর এবং গর্ভকেশর উভয় লিঙ্গই থাকে , তখন তাকে উভয়লিঙ্গি ফুল বলে । যেমন - জবা , সরিষা ইত্যাদি ।
32. ফুলের গর্ভকেশরের তিনটি প্রধান অঙ্গের নাম লিখ ।
উত্তরঃ ফুলের গর্ভকেশরের তিনটি প্রধান অঙ্গের নাম হল - ডিম্বাশয় , গর্ভদণ্ড ও গর্ভমুণ্ড ।
33. স্বপরাগযোগ কি ?
উত্তরঃ যখন একই ফুলের মধ্যে পুং-কেশর থেকে পরাগরেনু ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় তখন সেই পদ্ধতিকে স্বপরাগযোগ বলে ।
34. ইতর পরাগযোগ কি ?
Ans :- যখন একই ফুলে না হয়ে পরাগরেনু স্থানান্তর এক ফুলের পুং-কেশর থেকে অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় তখন সেই পদ্ধতিকে ইতর পরাগযোগ বলে ।
35. অঙ্কুরন ( Germination) পদ্ধতি কি ?
Ans :- উদ্ভিদের বীজে যে ভ্রুন থাকে তা উপযুক্ত অবস্থা পেলে চারা গাছে পরিনত হয় , এই পদ্ধতিকে অঙ্কুরন বলে ।
Ans:- বয়ঃসন্ধির সময় দেখতে পাওয়া কয়েকটি দৈহিক পরিবর্তনের উদাহরন হল -
(i) দেহের উচ্চতা ও ওজোন বাড়ে ।
(ii) মুখ , হাত ও পায়ে পাতলা চুল দেখতে পাওয়া যায় ।
(iii) গলার স্বর পরিবর্তন হয় ।
(iv) মুখের ত্বক তৈলাক্ত হয় ও ছেলেদের ক্ষেত্রে গালে দাঁড়ি গজায় ।
38. যৌবনরম্ভ ( puberty ) কি ?
Ans:- যখন শরীরে সাধারন বৃদ্ধির হার কমে আসে তখনই প্রজনন কলার পুণাংতা প্রাপ্তি হয় । বয়সন্ধির এই সময়কালকে যৌবনরম্ভ বলে ।
39. শুক্রাণু কোথায় উৎপন্ন হয় ?
Ans:- শুক্রাশয় ( Testes )
40. শুক্রাশয় দেহের কোথায় থাকে ?
উত্তরঃ শুক্রাশয় দেহেরে বহির্ভাগে শুক্রথলী নামক ব্যাগের আকারের গঠনের অভ্যন্তরে থাকে ।
41. ছেলেদের শরীরে আসা পরিবর্তনের জন্য কোন হরমন দায়ী ?
উত্তরঃ টেস্টটেরন
42. মুত্রনালী কি বহন করে ?
উত্তরঃ শুক্রাণু ও মূত্র ।
43. শুক্রবাহী নালীর পাশাপাশি থাকা গ্রন্থিটির নাম লিখ ।